জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। গতকাল ৫ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় বিপনীবাগ এলাকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আক্তার হোসেন মাঝি ঘোষণা করেন। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি বলেন, চাঁদপুর পৌরসভা শত বছরের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত রমনী মোহন রায়, মধূসূদন রায়, অক্ষয় কুমার দে, মরহুম এম এ ছালাম, আঃ করিম পাটোয়ারী, শামছুদ্দীন আহমেদ, নুরুল হক বাচ্চু মিয়াজী, ইউসুফ গাজী, শফিকুর রহমান ভূইয়া ও বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দীন আহমেদ জনগণকে সেবা দিয়ে গেছেন।
আমি কোনো অলোকিক স্বপ্নে বিশ্বাসী নই, আমি স্বপ্নপূরনে বিশ্বাসী। ইশতেহারে তিনি শপথ ও অঙ্গীকার করে বলেন, আমি দুর্নীতি করব না এবং কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না। দলমত বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবো। চাঁদপুর পৌরসভার পথেঘাটে রাস্তায় কোনো পানি জমতে দেবো না। জলাবদ্ধতা নিরসন করব। পৌরসভার ছোট বড় সকল রাস্তা উন্নয়নের আওয়তায় আনা হবে। পৌর এলাকায় বিদ্যুতের কোনো লোডশেডিং হতে দেব না। বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুরহাট পর্যন্ত ডিভাইডার দিয়ে ওয়ান ওয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে। যানজট নিরসনের লক্ষে দ্রæত গতিতে পৌরসভার পূর্বমুখি ৩টি রাস্তা সংস্কারসহ প্রয়োজনে আরো নতুন রাস্তা নির্মান করা হবে। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও যানজট নিরসনের জন্য ৫নং ঘাট থেকে লন্ডন ঘাট পর্যন্ত নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরী করা হবে। পৌরসভার প্রতি ইঞ্চি ভূমি উন্নয়নের আওতায় আনা হবে। দিনের বেলায় কোনো ময়লা আবর্জনা রাস্তায় থাকতে দেয়া হবে না এবং নিজে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মত কাজ করবো। কোনো শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে ডাষ্টবিন থাকবে না। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সংলগ্ন লেকের সৌন্দয্য বর্ধন করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিকল্পিত ভাবে কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠা করা হবে। পৌরবাসীর জন্য ২৪ ঘন্টা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। পৌরবাসীর জন্য একটি বিনোদন পার্ক, ২টি শিশু পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং চাঁদপুর শহরকে আধুনিক পর্যটন-বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পৌরসভার পূর্ব দিকে একটি নতুন কবরস্থান ও পুরানবাজারে একটি শশ্মান নির্মান করা হবে। পুরাতন কবরস্থানগুলো সংস্কার করা হবে। পুরানবাজারে দাতব্য চিকিৎসালয়কে আধুনিক হাসপাতালে পরিনত করা হবে এবং পূর্বাঞ্চালে আরো একটি পৌর আধুনিক চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় পাবলিক টয়লেট নির্মানসহ মাদকমুক্ত চাঁদপুর শহর গড়ে তোলা হবে। যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের জন্য চাঁদপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডে আধুনিকায়ন করা হবে। পানির বিল হোল্ডিং ট্যাক্স ও যাবতীয় বিল নিজ নিজ এলাকায় ব্যাংকে অথবা পৌরসভার নিজস্ব অ্যাপসের মাধ্যমে জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। জাতীয়তা, চারিত্রিক নাগরিক, জন্মমৃত্যু এবং ওয়ারিশসহ অন্যান্য সনদপত্র প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। পৌরসভার মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে আইসিটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পৌরসভার অন্তর্গত প্রত্যেকটি স্কুল ও পাঠাগার যুগোপযোগী তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য শিল্প-কারখানা ও শিশু পার্ক স্থাপনের শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি আইটি ট্রেনিং স্কুল স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। চাঁদপুর পৌর এলাকার সম্পূর্ণভাবে সিসি ক্যামেরা ওয়াইফাই জোন এর আওতায় আনা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দীন মিলন, সাধারন সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, সবেক সভাপতি শরীফ চৌধূরী, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক সোহেল রুশদী, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান সুমন, আব্দুর রহমান, তালহা জুবায়ের, আল ইমরান শোভন, কে এম মাসুদ। জেলা বিএনপির সিনিয়র যগ্ম আহŸায়ক অ্যাডঃ সলিমুল্যা সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহŸায়ক মুনির চৌধূরীর পরিচালনায় তা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহŸায়ক দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামন, মাহবুব আনোয়ার বাবলু, ফেরদৌস আলম বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসাইন, জসীম উদ্দীম খান বাবুলসহ অনেকে।