আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্তি আজ। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দিনে অর্জিত হয়েছিলো বাঙালির কাক্সিক্ষত বিজয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিলো বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন। এ আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয় ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ।
এ দেশের সর্বস্তরের মানুুষ একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর প্রস্তুতি নিতে থাকে পাক-হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করার জন্য। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এদেশের ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও পৈশাচিক কর্মকাÐ দেখে বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়ে পড়ে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বীর বাঙালি পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্থ করে ১৬ ডিসেম্বর অর্জন করে মহান বিজয়। বাঙালি পায় স্বাধীন জাতি সত্ত¡ার পরিচয়। পায় লাল সবুজের পতাকা। মহান এ বিজয় দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে প্রতিবছর। কিন্তু মহামারি করোনার কারনে এ বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিজয় দিবসের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন, ভার্চুয়াল অ্যাপের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
এবারো মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা সদরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি। আজ ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’ পাদদেশে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হবে। এরপর অঙ্গীকার বেদীতে সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হবে।